প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন?
প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন?
বর্তমানে প্রিন্টিং প্রেসক্রিপশন জনপ্রিয় হচ্ছে। প্রিন্টেড প্রেসক্রিপশন ডাক্তারের ইমেজ যেমন বাড়ায়, রোগীর ওষুধ বুঝতেও সুবিধা হয়। প্রেসক্রিপশন লেখার জন্য বাজারে বহু সফটওয়্যার আছে। প্রথমে আপনাকে বিবেচনা করতে হবে আপনার কাজের জন্য উপযুক্ত কোনটি। এমবিবিএস/জিপি হলে আপনার একধরণের সফটওয়্যার লাগবে আবার ডেন্টিস্ট হলে ভিন্ন ধরণের। বাজারের সফটওয়্যারগুলো অনলাইন এবং অফলাইন দুধরণের হয়।

প্রেসক্রিপশন অনলাইনে লিখবেন নাকি অফলাইনে?
অনলাইন সফটওয়্যারের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে। তাই আপনি যেখানে প্রাকটিস করছেন সেখানে দ্রুত গতির ইন্টারনেট আছে কি না প্রথমে সেটা যাচাই করে নিন।
সাধারণত গুগল ক্রম বা মজিলা ফায়ারফক্স ধরণের ব্রাউজার দিয়ে অনলাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। এর সুবিধা হল পোর্টেবিলিটি। নিজ পিসি বা অন্য যেকারো পিসি থেকে সফটওয়্যারে অ্যাক্সেস করতে পারছেন। ডেটা অনলাইন সার্ভারে সুরক্ষিত থাকায় হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই।
অফলাইন সফটওয়্যারের বড় সুবিধা ডেটা কন্ট্রোল সম্পূর্ণ আপনার কাছে থাকে। যেহেতু ডেটাবেজ পিসিতে জমা হয়, তাই আপনার রোগীর তথ্য আপনাে কাছে নিরাপদ থাকছে। অফলাইন প্রেসক্রিপশন সফটওয়্যারের আরেকটি বড় সুবিধা পিসি অন করলেই মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা এক্সেলের মত সফটওয়্যারর ওপেন করতে পারছেন। তাছাড়া অফলাইন সফটওয়্যারগুলোর স্পিড ও স্টেবিলিটি বেশি ভাল হয়। অফলাইনের অসুবিধা হচ্ছে, নিয়মিত ডেটাবেজ ব্যাকআপ যদি না রাখেন তাহলে পিসি নষ্ট হলে রোগীর ডেটা হারাতে হবে।

ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করব নাকি প্রিমিয়াম?
ফ্রি সফটওয়্যার আসলে প্রফেশনাল কাজের জন্য ভাল হবেনা। যেহেতু পেশাগত কাজে ব্যবহার করছেন তাই সফটওয়্যার হওয়া উচিত পেশাদার। যোকোন সমস্যায় যাতে আপনি টেকনিক্যাল সমাধান পান।

সফটওয়্যার কেনার সময় কি কি বিষয় মাথায় রাখব?
প্রথমে দেখে নিতে হবে সফটওয়্যারটি ক্লিনিক্যাল প্রাকটিসে ব্যবহারের জন্য কতটুকু মানসম্মত। বাংলাদেশে বেশিরভাগ সফটওয়্যার নির্মাতা হল আইটি প্রতিষ্ঠান যারা নিজেরা প্রাকটিসের সাথে জড়িত নয়। অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার ধাচে প্রেসক্রিপশন লেখার সফটওয়্যার বানিয়ে ফেলায় সেগুলো দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখাটা কষ্টকর। এজন্য আপনাকে প্রথম বিবেচনায় রাখতে হবে চিকিৎসক দ্বারা বানানো কোন সফটওয়্যার আছে কি না। কারণ সেগুলোতে বেশি প্রাকটিক্যাল ওরিয়েন্টেড হবে।

কত দামের মধ্যে সফটওয়্যার কিনব?
অনেকে খুব কমদামে সফটওয়্যার বিক্রি করেন। সস্তার বারো অবস্থা, তাই এসব থেকে দূরে থাকবেন। মিডিয়াম রেঞ্জে ৫-৭ হাজার টাকা বাজেটের রাখুন। এতে কোয়ালিটি সম্পন্ন সফটওয়্যার পাবেন।

প্রেসক্রিপশন লেখার সফটওয়্যার কেনার সময় কি কি বিষয় আলোচনা করব?
প্রথমে জেনে নেবেন আপনি যে সফটওয়্যারটি কিনছেন সেটি ওয়ান টাইম পারচেস নাকি লাইফটাইম। অনেক সফটওয়্যারে সফটওয়্যার কেনার পাশাপাশি মাসিক বিল পরিশোধ করতে হয়। আবার নতুন ভার্সন আসলর আপগ্রেড চার্জ নেয় অনেকে। সফটওয়্যার কেনার আগে বিষয়গুলো জেনে নেবেন এবং আপনার বাজেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না যাচাই করে নেবেন।

জিলসফট সফটওয়্যারঃ
জিলসফট (ZilSoft) প্রেসক্রিপশন লেখার সফটওয়্যারের নির্মাতা ডা. তানজিমুল ইসলাম একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। সফটওয়্যারের কোডিং তার নিজের করা, ফ্রিল্যান্স প্রোগ্রামার হিসাবে তিনি কাজ করছেন প্রায় ১০ বছর। এজন্য জিলসফট বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজে ব্যবহারযোগ্য আধুনিক সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটির ইন্টারফেস দেখেই আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। এটি ব্যবহারের জন্য বাড়তি কোন ট্রেনিং বা টিউটোরিয়ালেরও প্রয়োজন হবেনা।
জিলসফট ফ্রি এডিশন নাকি পেইড:
জিলসফট প্রতিমাসে ১০০ টি করে ফ্রি প্রেসক্রিপশন লেখার সুবিধা দেয় https://zilsoft.net ঠিকানা থেকে। আপনি নবীন জিপি প্রাকটিশনার হলে মাসে ১০০ টির লিমিট আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। বাড়তি খরচ ছাড়াই আপনি অনলাইন এডিশন ব্যবহার করতে পারবেন

যদি চেম্বার জমে যায় তবে অফলাইন সফটওয়্যারে মুভ করতে পারেন। অফলাইন সফটওয়্যারে প্রফেশনাল ফিচার থাকায় অনেক বাড়তি অপশন পেয়ে যাবেন, সাথে কাস্টমার সাপোর্ট পাবেন। নতুন ভার্সন আসলর সেগুলোর আপডেট পেয়ে যাবেন।